মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধোয়াইল গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইমরান মোল্লা নামে এক কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছে।
ইমরান মোল্লা উপজেলার ধোয়াইল গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত কাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের সময় গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে ভয়াবহ অাগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই।এই অগ্নিকাণ্ডে দুটি ঘরে থাকা মালামালসহ ৩টি গরু ও ২টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায় । যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪ লক্ষ টাকারও বেশি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষনে দুটি ঘর সহ ৩টি গরু ও ২টি ছাগল ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, গোয়ালঘরের পাশে রান্নাঘর থেকেই সম্ভবত আগুন লাগতে পারে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তারা জানান।
ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এলাকাবাসীর ধারণা, সব মিলিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।
মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বলেন,আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি।এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।কিন্তু ততক্ষণে তিনটা গরু ও ২ টি ছাগল সহ ঘর পুড়ে যায়।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ইমরান মোল্যার বাড়ি আজ পরিদর্শন করেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রামানন্দ পাল। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারের মাঝে কিছু শুকনা খাবার প্রদান করেন এবং সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সকলের উদ্দেশ্য বলেন,
আসুন একটু সচেতন থাকি, ভয়াভয় অগ্নি দূর্ঘটনার হাত থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।
গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ্বালাবেন না, খুব প্রয়োজন হলে অতিশয় সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
কাঠ বা খুড়কুটো দিয়ে রান্না শেষে চুলা পুরোপুরি নিভিয়ে নিন।
বৈদ্যুতিক লাইন বা শর্টসার্কিট সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে আজই বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।